লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। যা ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা
খালি পেটে লেবুর রস খান, তাদের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। সুতরাং ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা না করে প্রতিদিন সকালে লেবুর রস খান।
কিডনির পাথর: লেবুতে
উপস্থিত লবণ বা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে ‘ক্যালসিয়াম অক্সালেট’ নামক
পাথর গঠনে বাধা দেয়।
সবচেয়ে সাধারণ কিডনি পাথরগুলোর মধ্যে এটি একটি।
লেবুতে বিদ্যমান সাইট্রিক অ্যাসিড কোলন, পিত্তথলি
ও লিভার থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।ভাইরাসজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে লেবুর রস।লেবুর রস হজমে ব্যাপক সাহায্য করে। সেইসঙ্গে পরিপাক নালী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, এই উপাদান শরীরে কোলাজেন তৈরি করে। যা মুখের অবাঞ্ছিত দাগ দূর করে ঔজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘটে। তাহলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন। এটি আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে।লেবুর রস চোখের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং চোখের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে
লেবু পানি কফ সারায়। ফলে শ্বাস নেওয়ার
সমস্যা
দূর হয়। হাঁপানি
রোগীদের
জন্যও এটি উপকারী।লেবু পানি দেহের ব্লাড প্রেশার
নিয়ন্ত্রনে
রাখে। রোজ পান করলে উচ্চরক্তচাপ
১০ শতাংশ কমে যায়। লেবু পানি শরীরের
রক্তবাহী
ধমনী ও শিরাগুলোকে
পরিষ্কার
রাখে।লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। যা ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা খালি পেটে লেবুর রস খান, তাদের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। সুতরাং ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা না করে প্রতিদিন সকালে লেবুর রস খান।যদি মূ ত্রনালীতে সংক্রমণ ঘটে। তাহলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন। এটি আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে।লেবুর রস চোখের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং চোখের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
লেবু অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার।শীতের শুষ্ক ঠোঁটে যেমন চামড়া ওঠে, আপনার ঠোঁট তেমন হয়ে থাকলে লেবুই ভরসা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস ঠোঁটে
দিয়ে ঘুমিয়ে যান। এতে আপনার অধর হবে স্ফীত, কোমল ও মসৃণ।
চুলে তেল দিতে হয়। কিন্তু শ্যাম্পু করার পরও তাতে তেল চিটচিটে ভাব থাকতে পারে।
এ ক্ষেত্রে লেবুর রস বিস্ময়কর কাজ দেয়। লেবুর রসে অ্যাসট্রিনজেন্ট রয়েছে, যা তেলতেলে অংশ শুষে নেয়। চুল হয় ঝরঝরে।
শুষ্ক চুলের কন্ডিশনারঃ লেবুর রস, ৩/৪ কাপ অলিভ অয়েল, ১/২ কাপ মধু, দিয়ে একটি প্যাক তৈরী করে চুলে লাগিয়ে ৩০
মিনিট পরে শ্যাম্পু করুন। এটি চুলকে ড্যামেজ ফ্রি করবে।
চুল পড়া বন্ধেঃ ৩-৪ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
নিয়ে তাতে অর্ধেক পরিমাণ লেবুর রস মিক্স করে সপ্তাহে একদিন চুলে লাগান। ২-৩
সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেখুন।
নতুন চুল গজাতেঃ কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং
আমলকীর রস মিক্স করে খুশকির সমস্যা সমাধানে কাগুজি লেবু ,মেথি বা পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে।
এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেই সঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তবে এই
ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে এসপিএফ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
বয়সের ছাপ পড়ে বলিরেখার মাধ্যমে। তা ছাড়া
অনেকের এমনিতেই বলিরেখা পড়তে পারে। লেবুর রস এই বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর।
রেখাগুলোতে লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
মানুষের কনুই এবং হাঁটুর অংশটি খসখসে হয়। এই
অংশ দুটিকে মসৃণ এবং সুন্দর করে দেয় লেবুর রস। এক টেবিল চামচ লবণ, সামান্য অলিভ ওয়েল এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। দেখুন জাদুর মতো কাজ করবে।
যাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব রয়েছে তারা
কয়েক ফোঁটা ডাবের পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন। দেখবেন, ত্বক সুন্দর কোমল হয়েছে। আবার লেবুর রসে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
ডিওডরেন্ট ব্যবহার না করলেও চলবে। লেবুর রসে
সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে যা বাজে গন্ধ হটিয়ে দেয়। তাই দুর্গন্ধের স্থানে লেবুর রস
মেখে নিন। দুর্গন্ধ চলে যাবে।
নাকের ওপর বা ত্বকে ব্ল্যাক হেড সৌন্দর্য
হানি ঘটায়। লেবুর রস এসব ব্ল্যাক হেডের গোড়া নরম করে তাদের তুলে আনে। লেবুর রসের
সঙ্গে আর কিছু মেশানোর প্রয়োজন নেই। বেশ ভালো করে ত্বকে রস দিয়ে ঘষুন।
মুখের শ্রী বৃদ্ধি করার জন্য এক টুকরো লেবুর
রসের সঙ্গে দুই চামচ দুধ মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে প্রলেপ লাগান। ১৫ – ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলু্ন।
যাদের মুখে ব্রণ আছে তারা একটি ছোট তুলার বলে
লেবুর রস নিয়ে স্কিন পরিষ্কার করলে ব্রণ কমে যায়। এটি রাতে মুখ ধোয়ার পর ব্রণের
দাগে লাগিয়ে রাখলে দাগ তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
লেবুর রস রস একটি প্রাকৃতিক অ্যানটিসেপ্টিক, যদি এটি মুখে মাস্ক হিসেবে নেয়া হয় তবে এটি স্কিনের অতিরিক্ত তেল ময়লা দূর
করবে এবং ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ হতে দূরে রাখবে।
অন্যান্য ব্যবহারঃ মাইক্রোওভেন পরিষ্কার করতে
লেবুর খোসা ব্যবহার করা হয়।
রান্নাঘর, খাবার টেবিল, ষ্টোভ, এর তেলের দাগ পরিষ্কার করতে অর্ধেক পরিমাণ
লেবু এবং লবণ নিয়ে তৈলাক্ত স্থানে কিছুক্ষণ ঘষে নিন এরপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে
ফেলুন।
চপিং বোর্ড পরিষ্কার করতে লেবু ব্যবহার করতে
পারেন।
ঘরে যদি চিনি কাঁকুড়ে হয়ে যায় তবে লেবুর খোসা
ব্যবহার করে দেখুন।
শুনতে আজব লাগলেও মশা তাড়াতে বেশ কার্যকর
লেবু। এজন্য লেবুকে দুইভাগ করে কেটে নিয়ে কাটা অংশে লবঙ্গ গেঁথে নিতে হবে। তারপর
ঘরের একটি স্থানে রেখে দিন। মশার উপদ্রব থেকে দূরে থাকা যাবে।
পিঁপড়া দূর করতে কয়েক টুকরা লেবুর খোসা জানালার কোণে, দরজার কোণে বিশেষ করে যেখান দিয়ে পিঁপড়া এবং অন্যান্য পোকামাকড় আসে সেদিকে
রেখে দিন। দেখবেন পিঁপড়া তেমন একটা আসছে না। কারণ পিঁপড়া এবং অন্যান্য পোকামাকড়
লেবুর গন্ধ একদম সহ্য করতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন