কুমড়োর বিচিতে আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি, ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবই হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খারাপ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ফলে হদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় কুমড়োর বিচি। কেননা, এই বিচি খেলে শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ চাপ কমায়। এছাড়া হজমে সাহায্য করে এমন প্রোটিনও সরবরাহ করে কুমড়োর বিচি, ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওজন কমাতেও সাহায্য করে কুমড়োর বিচি! ছোট্ট এই খাবারেই পেট পূর্ণ থাকে অনেকক্ষণ। আর আশজাতীয় খাবার বলে হজমেও সময় লাগে। ফলে ক্ষুধা পায় না, শুধু শুধু বাড়তি খাবার শরীরে ঢোকার সুযোগ পায় না।
প্রচুর পরিমাণে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এটি।
কুমড়োর বিচিতে আছে জিংক, যা পুরুষের উর্বরতা বাড়ায় ও প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এতে আছে ডিএইচইএ (ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন), যা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
কুমড়োর বিচিতে আছে সেরোটোনিন। স্নায়ু নিয়ন্ত্রক এই রাসায়নিক বস্তুকে প্রকৃতির ঘুমের বড়ি বলা হয়। ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা ঘুম নিশ্চিত করে। ঘুমানোর আগে মুঠভর্তি কুমড়োর বিচি এনে দেবে পুরো রাত্রির শান্তি।
পেশির জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমানোর ক্ষমতা আছে কুমড়োর বিচির। এ ছাড়া বাতের ব্যথাও কমায় এটি। অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে এর তেলও ভালো কাজে দেয়।
এতে আছে কিউকুরবিটিন, এমন এক অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ভিটামিন সিও আছে কুমড়োর বিচিতে, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়
কুমড়ার বীজে আছে সেরোটোনিন। যা ঘুমের ওষুধেরই সমান। এর থেকে অনিদ্রার সমস্যা দূর হতে পারে।
পেশীর জন্য অত্যন্ত উপকারি কুমড়ার বীজ। বাতের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে এই কুমড়ার বীজ।
কুমড়োর বীজে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি, ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী কুমড়ার বীজ। শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কুমড়ার বীজ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে এটি।
ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত ভাল কুমড়ার বীজ। শর্করার বিকল্প হওয়ায় খিদে তাড়াতাড়ি মেটায়। শরীরের ওজন কমাতেও যা পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করে।
কুমড়ার বিচিতে রয়েছে জিঙ্ক। যা পৌরষত্ব বাড়ায় ও প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
কুমড়ার বীজে রয়েছে কিউকরবিটিন। রয়েছে ভিটামিন সি-ও। যা চুলের বৃদ্ধির জন্য আদর্শ।
চুর পরিমানে পটাশিয়াম (৭৮৮মি.গ্রা.) আছে যা উচ্চরক্তচাপ এর রুগীদের জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী এবং অন্যান্য ট্রেস এলিমেন্ট ( দেহে খুব অল্প পরিমানে প্রয়োজন হয় কিন্তু অত্যাবশ্যক) অর্থাৎ কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সহ বিশেষ করে প্রচুর ম্যাগনেসিয়ামও (৫৫০ মি.গ্রা.) আছে যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স রক্ষায় ভুমিকা রাখে।
হার্ট এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও এর ভুমিকা অপরিসীম। কারণ এতে (১০০ গ্রামে) গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এসিড পলি আনস্যাচুরেটেড (১৯.৮৫ গ্রাম) এবং মনো আনস্যাচুরেটেড (১৫.৭৩ গ্রাম) ফ্যাটি এসিড আছে যা হার্ট এবং মস্তিষ্কের সুস্থতায় অত্যাবশ্যক। তাছাড়া ও ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য কিছু পুষ্টি উপাদানের শোষনেও ভুমিকা রাখে।
এটি ডায়াবেটিস এ সুগার লেভেল কে ও নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
এটি প্রচুর পরিমান ফাইবার সমৃদ্ধ যা কিনা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক একটি খাবার।
সুতরাং আমরা যদি এই গুরুত্বপূর্ণ মিষ্টি কুমড়ার বিচির খাবারটি ফেলে না দিয়ে, আমাদের প্রায় প্রতিদিনের খাবারে অল্প পরিমান (১২/১৫ পিস বীচি) সংযুক্ত করি, তবে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের অনেক শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনা কমে যায়। সাথে সাথে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান এর শোষণ ও নিশ্চিত হয়।
এখন আসি কিভাবে এই মিষ্টি কুমড়ার বিচি খাবেন? সাধারণত পাকা মিষ্টি কুমড়ার বিচিই খাওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট। মিষ্টি কুমড়ার বিচি সংগ্রহ করে ভালভাবে ধুয়ে শুকনো করে তাওয়া বা ফ্রাই প্যানে টেলে মচমচে করে ভেজে (অবশ্যই তেল ছাড়া) কাচের বোয়ামে সংরক্ষণ করা যায়। প্রতিদিন শুধুমাত্র ভাজা বিচি চিবিয়ে, মিক্সড ফলের সাথে অথবা সালাদে যোগ করে খাওয়া যায়।
অনেক ক্ষেত্রে ব্লেন্ডারে গুড়ো করে বিভিন্ন ভর্তায় মিশিয়ে, স্যুপে মিশিয়ে অথবা সরাসরি ভর্তা বানিয়ে, সবজি রান্নায় ও মিশিয়ে খাওয়া যায় এবং শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের খিচুড়ি বা অন্য তরল খাবারে মিশিয়ে বাড়তি পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন