বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৯

দূর্বল পুরুষদের জন্যে আছে অশ্বশক্তি সম্পন্ন বাজিকরন মিক্স

যে ক্রিয়াদ্বারা স্ত্রী সংঙ্গমে পুরুষের অশ্বের ন্যায় সামর্থ্য জন্মে এবং অধিক পরিমাণে শুক্র উৎপান্ন হয় তাই বাজিকরন,যোগ--৷৷  যজ্ঞ ডুমরের রস, ঘৃত, দুগ্ধ, ভুমিকুশমান্ডচুর্ন একাতরে সেবনে বৃদ্ধ যুবকের মত শক্তিশালী হবে,আমলকীর চুর্ণ ও রস দ্বারা  সাতবার ভাবনা দিয়া ঘৃত ও মধুসহ ভক্ষণ করিয়া দুগ্ধ পান করিলে রতিশক্তি বৃদ্ধি পায়,ছাগলের অন্ডকোষ পানিতে সিদ্ধ করিয়া গব্য ঘৃত দ্বারা ভাজিয়া সৈন্ধবলবন ও পিপুলচুর্নসহ সেবনে প্রবল রতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯

পুংলিঙ্গ শক্তিশালী করতে যা করবেন

শিমুল মূলের রসে সামান্য চিনি মিশিয়ে প্রত্যেহ ভোরে সেবন করলে লিঙ্গের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

দুই তোলা পরিমাণ তেলাকুচার মূল অল্প পানি দিয়ে বেটে নিয়মিত সেবন করলে রতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

নিয়মিত কিছুদিন চড়ুই পাখির মাংস ভুনা করে খেলেও রতি শক্তি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়।

শিমুল গাছের মূল দুই আনা পরিমাণ, আমলকি চূর্ণ দুই আনা, জায়ফল চার রতি ও পরিমাণ মত মাখন এবং মিছরী চূর্ণ করে একত্রে মিশিয়ে নিয়মিত সকালে ও রাতে ঠান্ডা পানিসহ সেবন করলে অতি তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যায়।

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

রক্ত আমাশা ও জন্ডিস সারাতে পাথরকুচি পাতা

পাতা থেকে গাছ হয়! এমনি এক আশ্চর্য গাছের নাম পাথরকুচি। এই আশ্চর্য গাছের গুণাবলী শুনলে আপনিও আশ্চর্য হয়ে যাবেন। পাথরকুচি পাতা যে কতভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে তার ইয়ত্তা নেই। কিডনির পাথর অপসারণে পাথরকুচি পাতা : পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলব্লাডারের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুই বার ২ থেকে ৩ টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।

জন্ডিস নিরাময়ে : লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী। সর্দি সারাতে : অনেক দিন ধরে যারা সর্দির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পাথরকুচি পাতা অমৃতস্বরূপ। পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম করে খেলে সর্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ক্ষত স্থান সারাতে : পাথরকুচি পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। পাথরকুচি পাতা বেটেও কাটাস্থানে লাগাতে পারেন।

এছাড়াও- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়। শরীরের জ্বালা-পোড়া বা আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে। পাথরকুচি পাতা বেটে কয়েক ফোঁটা রস কানের ভেতর দিলে কানের যন্ত্রণা কমে যায়। কলেরা, ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচি পাতার জুড়ি নেই। ৩ মি.লি. পাথরকুচি পাতার জুসের সাথে ৩ গ্রাম জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পর্যন্ত খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়। পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্‌ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ত্বকের যত্নে : পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালা-পোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে। যারা ত্বক সম্বন্ধে অনেক সচেতন তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৯

মধু ও রসুন একসাথে খেলে কি হয় জেনেনিন রসুন খাওয়ার উপকারিতা


  রসুন আর মধু খালি পেটে ১ সপ্তাহ খেলে যা হবে

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে রসুন অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ। নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাসের নানা প্রকার উপকারী দিক রয়েছে। কাঁচা রসুন চিবিয়ে ও রস করে মধুর সাথে এবং রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও আদা বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে।

নিয়মিত রসুন খাওয়া রপ্ত করতে পারলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। হার্ট অ্যাটাক রুখতেও তার জুড়ি মেলা ভার। এমনকি সাধারণ সর্দি-কাশি, ফ্লু, ছত্রাক সংক্রমণ ও ডায়েরিয়া সারাতেও কাজে দেয় রসুন।

রসুন কাঁচা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে বেশি ফল মিলবে যদি খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া যায়। আর মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে মিলবে আরও উপকারিতা।

রসুনের ২-৩টি কোয়া কুচিয়ে নিন। তার সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ খেলে শরীর ফিট ও এনার্জিতে ভরপবুর থাকবে।

এছাড়া অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, ৫ কোয়া রসুন কুচি, ২টি শুকনো লঙ্কা কুচি, ১ টেবিলচামচ আদা কুচি, একটি গোটা পাতিলেবুর রস এবং অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়েও রসুন খাওয়া যায়।

প্রথমে একটি পাত্রে পেঁয়াজ-রসুন-আদা-শুকনো লঙ্কা কুচি মেশান। আলাদা পাত্রে লেবু চিপে রস তৈরি রাখুন। এবার কুচোনো উপকরণে লেবুর রস মেশান। সব শেষে ভিনিগার ঢেলে মিশিয়ে অন্তত ১ সেন্টিমিটার ফাঁক রেখে পাত্রটি ঢেকে রাখুন। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও ফ্লু সারাতে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

রসুনের উপকারিতা:

১) হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। ২) শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। ৩) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে। ৪) গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। ৫) ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ৬) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে। ৭) যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ৮) দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়। ৯) যৌনমিলনের অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। ১০) হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন সকালে ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুন চিবিয়ে বা থেতলিয়ে খান উপকার পাবেন।

মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০১৯

গরম ও রোজায় যদি সুস্থ থাকতে চান ডাবের পানি পান করেন

ডাবের পানি উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, মেঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক নানাভাবে শরীরে গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এসব উপাদানই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন পরে।

১. ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে :

ডাবের পানি হলো প্রকৃতিক টোনার, যা ত্বককে সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি সার্বিকবাবে স্কিনের ঔজ্জ্বলতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্রণর প্রকোপ কমাতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি সাহায্য করে থাকে।

২. ওজন কমবে :

ডাবের পানি উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি এনজাইম হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেটাবলিজমের উন্নতিতেও সাহায্য করে থাকে। ফলে খাবার খাওয়া মাত্র তা এত ভালো ভাবে হজম হয়ে যায় যে শরীরের অন্দরে হজম না হওয়া খাবার মেদ হিসেবে জমার সুযোগই পায় না। ফলে ওজন কমতে শুরু করে। ডাবের পানি শরীরে লবনের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৩. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে :

ডাবের পানি উপস্থিত ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল জানার্লে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে পটাশিয়াম শরীরে লবনের ভারসাম্য ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে স্বাভাবিক রাখে। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগটির ইতিহাস রয়েছে, তাদের নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়া উচিত। একই নিয়ম যদি রক্তচাপে ভোগা রোগীরাও মেনে চলেন, তাহলেও দারুণ উপকার মেলে।

৪. ব্লাড সুগারকে বেঁধে রাখবে :

২০১২ সালে হওয়া জার্নাল ফুড অ্যান্ড ফাংশন স্টাডিসে দেখা গিয়েছিল ডাবের পানিতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে :

রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিন এবং পাইরিডোক্সিনের মতো উপকারি উপদানে ভরপুর ডাবের পানি প্রতিদিন পান করলে শরীরের অন্দরের শক্তি এতটা বৃদ্ধি পায় যে জীবাণুরা কোনওভাবেই ক্ষতি করার সুযোগ পায় না। সেই সঙ্গে ডাবের পানিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটিজ নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে :

ডাবের পানি শরীরের অন্দরে প্রবেশ করা মাত্র পানির ঘাটতি মিটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত ইলেকট্রোলাইট কম্পোজিশান ডায়ারিয়া, বমি এবং অতিরিক্ত ঘামের পর শরীরে ভিতরে খনিজের ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো গরমকালে ডাবকে রোজের সঙ্গী করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৭. হার্টের টনিক :

শরীরে বাজে কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর পরিমাণ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডাবের পানির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, দেহে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতেও ডাবের পানি বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে।

৮. মাথা যন্ত্রণা দূরে থাকবে :

ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনর অ্যাটাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে দ্রুত এক গ্লাস ডাবের পানি খেয়ে নেবেন। এমনটা করলে দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, এই ধরনের শারীরিক সমস্যার চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৯.শরীরের বয়স কমবে :

খাতায় কলমে বয়স বাড়লেও শরীরের বয়স কি ধরে রাখতে চান? তাহলে আজ থেকেই ডাবের পানি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে ডাবের পানি রয়েছে সাইটোকিনিস নামে নামে একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান, যা শরীরের উপর বয়সের ছাপ পরতে দেয় না। সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১০. কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটবে :

প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে ডাবের পানি কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত টক্সিন উপাদানদের ইউরিনের সঙ্গে বের করে দিয়ে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।

১১. স্ট্রেস কমবে :

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ডাবের পানি উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের অন্দের প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন স্ট্রেস কমায়, তেমনি পেশীর সচলতা বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, ডাবের পানিতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সোমবার, ৬ মে, ২০১৯

রোজা রাখার কিছু স্ব্যাস্থ উপকারিতা

আসুন জেনে নেই স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের মতে রোজা রাখার কয়েকটি উপকারিতা।
১। মোটা ব্যাক্তির জন্যঃ
অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের কারণে অনেকেই অনেক সমস্যায় ভুগছেন। তাই তো ইসলাম অতিরিক্ত আহার গ্রহনের পক্ষে নয়। অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের ফলে দেহে প্রচুর চর্বি জমে যায়, ফলে শরীর অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়, যা স্বাভাবিক জীবন যাপনকে ব্যাহত করে। বাড়তি চর্বি চামড়ার নিচে, শিরা উপশিরা এমনকি হৃৎপিন্ডে জমা হতে পারে। ফলে রক্তনালীতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল করতে পারে না। কিন্তু রোজা রাখলে শরীরে জমে থাকা এসব চর্বি শরীরের কাজে ব্যবহৃত হয় ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এ সমস্ত রোগীরা অবশ্যই ইফতার ও সেহরিতে কম ক্যালরির হালকা খাবার খাবেন।
২। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, এবং হাঁপানি রোগীদের জন্য রোজা উপকারীঃ
রোজা রাখার ফলে রক্তে ক্ষতিকর ফ্যাট এর মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুকি অনেক কমে যায়। রোজা রাখলে স্ট্রেস হরমোন কম নিঃসরণ হয় এর ফলে বিপাকক্রিয়া ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। রোজা রাখার ফলে মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা কমে যায়, কাজের প্রতি মনোযোগ বেড়ে যায়, এটি উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য খুবই ভাল। অধিকাংশ হাঁপানি রোগীর জন্যও রোজা বেশ উপকারী।
৩। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য রোজাঃ
যেসমস্ত ডায়াবেটিস রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য রজা রাখা খুবই জরুরী। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া না হয়ে যায়। যারা ২ বেলার অধিক ইনসুলিন গ্রহন করে থাকেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখলে ভাল হয়।
৪। আলসার রোগীদের জন্য রোজাঃ
অনেক সময় দেখা যায় আলসারে আক্রান্ত রোগীরা রোজা রাখলে ভাল থাকেন। কারো কারো সমস্যা হতে পারে। তবে তাদের জন্য রোজা রাখার বিষয়টি অনুশীলনের উপর নির্ভর করে।
৫। রোজা ধূমপান কমিয়ে দেয়ঃ
আমরা জানি ধূমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এ কথা বর্তমান যুগে সবাই জানে। বিজ্ঞানের আবিষ্কারের অনেক আগে থেকেই ইসলাম ধূমপান নিষিদ্ধ করেছিল। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। রোজা রাখলে ওই সমস্ত লোক এটি থেকে বিরত থাকতে পারবেন। বলা যেতে পারে ধূমপান বর্জনের উপযুক্ত সময় হচ্ছে রমজান মাস।
স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে সারা বছর অতিরিক্ত খাবার, অখাদ্য, ভেজাল খাবার ইত্যাদি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে জৈব বিষ জমা হয়। এটি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যদি আমরা পুরো এক মাস সঠিক ভাবে রোজা পালন করি তাহলে এসব বিষ শরীর থেকে দূর হয়ে যাবে। আমাদের শরীর হবে শংকামুক্ত। এসব তো হবেই সাথে মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ পালন হবে, মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আসুন আমরা সবাই আল্লাহ তায়ালার বিধান মোতাবেক জীবন পরিচালনা করি, সুস্থ থাকি, আল্লাহর সানিধ্য লাভ কর,১. এক মাস রোজা দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। মাসব্যাপী খাবারের সংযম বছরের বাকি মাসগুলোতে শরীরকে অধিক কর্মক্ষম করে। বিশেষ করে পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। লিভার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। রোজার ফলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো বিশ্রাম লাভ করে। শরীরের সঞ্চিত বিষাক্ত পদার্থগুলো দূর হয়ে যায়।

৬.পৃথিবীতে প্রতি বছর অপুষ্টিতে যত মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় অতিপুষ্টিতে বা অতিরিক্ত পানাহারের ফলে সৃষ্ট সমস্যা থেকে।

৭.যখনই একবেলা খাওয়া বন্ধ থাকে তখনই দেহ সেই মুহূর্তটিকে রোগ মুক্তির সাধনায় নিয়োজিত করে। অতিভোজনের ফলে দেহে যে টক্সিন তৈরি হয় তা বায়ুমন্ডলীকে বিষাক্ত করে তোলে। ফলে দেহে এক অস্বাভাবিক রকমের ক্লান্তিবোদ ও জড়তা নেমে আসে।

৮. এক মাসের রোজায় ওজন হ্রাস পায়, রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল কমে আসে, করোনারি ধমনীতে সঞ্চিত চর্বি কমতে থাকে যদি রোজায় চর্বি জাতীয় খাবার ও ভাজা-পোড়া খাবার কম খায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।

৯. গ্যাস্ট্রিক বা ডিওডেনাল আলসারের কারণে যারা রোজা রাখতে ভয় পান তাদের জন্য সুখবর, রোজা আলসার বৃদ্ধি করে না। এটি আজ চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অভিমত। কেননা রোজা যেহেতু মানসিক প্রশান্তি নিয়ে আসে সেহেতু এসিড নিঃসরণ স্বাভাবিক থাকে। রোজায় গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগীরা ভাল থাকেন। তবে ডিওডেনাল আলসারের রোগীদের ক্ষেত্রে কখনও কখনও রোজায় ব্যথা বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে                 রেনিটিডিন ট্যাবলেট (১৫০ এমজি) বা প্যানটোপ্রাজল ট্যাবলেট (২০এমজি) বা ওমেপ্রাজল ট্যাবলেট(২০এমজি) সেহরি ও ইফতারির সময় খাওয়া যেতে পারে।

রোজা রাখার ফজিলত

১. রোজার প্রতিদান আল্লাহপাক নিজেই দেবেন এবং বিনা হিসাবে

প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত সওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে যার মাধ্যমে আল্লাহ পাক আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ রোজার বিষয়ে আছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অনন্য ঘোষণা।

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, মানুষের প্রতিটি আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকির সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, কিন্তু রোজার বিষয়টা আলাদা। কেননা তা আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করবো। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।

১. সহীহ মুসলিম ১১৫১

২. মুসনাদে আহমাদ ৯৭১৪


২ আল্লাহ তায়ালা রোজাদারদের কিয়ামতের দিন পানি পান করাবেন

হযরত আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তায়ালা নিজের উপর অবধারিত করে দিয়েছেন যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজা রাখার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন।


৩ রোজা জান্নাত লাভে পথ

হযরত আবু ওমামা রাঃ হতে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ’র (সাঃ) দরবারে গিয়ে বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন যার দ্বারা আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি।

রাসুলুল্লাহ বললেন, তুমি রোজা রাখ। কেননা এর সমতুল্য কিছু নেই। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম। রাসুল (সাঃ) জবাব দিলেন, তুমি রোজা রাখ। (মুসনাদে আহমাদ ২২১৪৯)


৪ রোজাদার বেহেস্তে প্রবেশ করবে রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে

হযরত সাহল ইবনে সা’দ রাঃ হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, জান্নাতে একটি দরজা আছে যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে কেবল রোজাদারগণ প্রবেশ করবেন। অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে কোথায় সেই সৌভাগ্যবান রোজাদারগণ? তখন তারা উঠে দাঁড়াবে। তারা ব্যতীত কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অতঃপর রোজাদারগণ যখন প্রবেশ করবে, তখন তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

১. সহীহ মুসলিম ১১৫২

২. মুসনাদে আহমাদ ২২৮১৮


৫. রোজা জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী ঢাল ও দুর্গ

হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, রোজা হলো (জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভের) ঢাল ও সুরক্ষিত দূর্গ। (মুসনাদে আহমাদ ৯২২৫)


৬ রোজ কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, রোজা ও কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে রব, আমি তাকে খাদ্য ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।

রাসুল (সাঃ) বলেন, অতঃপর তাদের উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। (মুসনাদে আহমাদ ৬৬২৬)


৭ রোজাদারের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহীহ বুখারি ২০১৪)


৮ রোজাদারের মুখের গন্ধ মিশকের চেয়েও সুগন্ধিযুক্ত

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, শপথ সেই সত্ত্বার যার হাতে রয়েছে মুহাম্মদের প্রাণ, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়। (সহীহ বুখারি ১৯০৪)


৯ রোজাদারের দুটি আনন্দের মুহূর্ত

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত, নবীজী (সাঃ) বলেছেন, রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। যখন সে আনন্দিত হবে-

এক. ইফতারের সময়। তখন সে ইফতারের কারণে আনন্দ পায়।

দুই. যখন সে তার রবের সঙ্গে সাক্ষাত লাভ করবে তখন তার আনন্দ হবে।

অপর এক বর্ণনায় এসেছে, যখন তার প্রতিপালক রোজার পুরস্কার দিবেন। (সহীহ মুসলিম ১১৫১)


১০ রোজাদারের দুয়া কবুল হয়

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) ইরশাদ করেন, ইফতারের সময় রোজাদার যখন দুয়া করেন তখন তার দুয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (অর্থাৎ দুয়া কুবল কর হয়) (সুনানে ইবনে মাজাই ১৭৫৩)

আরও অসংখ সহীহ হাদিসে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। রমজান হলো ইবাদতের মৌসুম।

দূর্বল পুরুষদের জন্যে আছে অশ্বশক্তি সম্পন্ন বাজিকরন মিক্স

যে ক্রিয়াদ্বারা স্ত্রী সংঙ্গমে পুরুষের অশ্বের ন্যায় সামর্থ্য জন্মে এবং অধিক পরিমাণে শুক্র উৎপান্ন হয় তাই বাজিকরন,যোগ--৷৷  যজ্ঞ ডুমরের রস, ...